বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

গাজার দক্ষিণাংশে ইসরায়েলের বোমা হামলা

গাজার দক্ষিণাংশে ইসরায়েলের বোমা হামলা

ডেস্ক রিপোর্ট :
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাংশে আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) একপাক্ষিকভাবে হামলা ও বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েল। এদিকে যুদ্ধপরবর্তী সময়ে ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য নির্ধারণের লক্ষ্যে নিজেরদের মধ্যে মতবিরোধ নিরসনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলোচনা করেছেন। খবর এএফপির।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজার দক্ষিণে হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকার খান ইউনিস শহরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আজ শনিবার সকালে গাজার উত্তরে জাবালিয়াতেও ব্যাপক গোলাগুলি চলছে।

এদিকে, গত ২৩ ডিসেম্বরের পর অনুষ্ঠিত প্রথম টেলিফোন আলোচনায় অংশ নিয়েছেন নেতানিয়াহু ও বাইডেন। সম্প্রতি যেকোনো ধরনের ফিলিস্তিনি সার্বভৌমত্বের বিষয়টি নেতানিয়াহু নাকচ করে দেওয়ার পরপরই এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো। দুই নেতা খান ইউনিস ও হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চলতে থাকা যুদ্ধের বাস্তবতা নিয়েও কথা বলেন।

নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধ আরও কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। তবে দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের বিরোধিতা করে দেওয়া তার বক্তব্যের কারণে তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৈরি হয়েছে মতভেদ।

গতকাল শুক্রবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলার পর বাইডেন জানান, ইসরায়েলি নেতার তার অবস্থান থেকে সরে আসার সুযোগ রয়েছে। হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। জাতিসংঘের এমন অনেক সদস্য দেশ রয়েছে, যাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী নেই। সুতরাং আমি মনে করি, কাজ করার এখনও সুযোগ রয়েছে।’

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুর করে এই সংঘাতের সূত্রপাত হয় গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের মাধ্যমে। এই হামলায় হামাস এক হাজার ১৪০ জনকে হত্যা করে। এদের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক।

এর পাল্টা জবাব দিতে ইসরায়েল গাজায় শুরু করে আকাশ ও স্থলপথের অভিযান।  নির্বিচার বোমাবর্ষণে মারা যায় ২৪ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনি, যাদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু-কিশোর।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech